GTA V অ্যাডভেঞ্চার: লস স্যান্টোসের রোমাঞ্চকর দুনিয়ায় একদিন
GTA V গাইড: এক অজানা রোমাঞ্চকর দুনিয়া
একদিন শামীমের হাতে একটা নতুন গেম আসল, নাম GTA V। হ্যাঁ ভাই, শুনতে তো অহন মজাই লাগতাছে, কিন্তু মজা লাগনের আগেই শামীম পুরা ঘাবড়ায় গেল! এত বড় একটা দুনিয়া, কই যাই, কী করি কিছুই বুঝতাছে না। শামীম তবু হাল ছাড়ে না, শুরু করলো একে একে তিনটা চরিত্র নিয়া নতুন অ্যাডভেঞ্চার।
মাইকেল, ফ্র্যাঙ্কলিন আর ট্রেভর: তিন রকম মানুষ
গেমের শুরতেই শামীম পরিচিত হইল মাইকেল নামে এক লোকের সাথে। মাইকেল পুরা হিরো টাইপের, কিন্তু তারেও শান্তি নাই। ফ্যামিলি নিয়া ঝামেলা, আর তার পিছু লেগে থাকা পুরান সব কেচ্ছা। তারপর শামীম দেখল ফ্র্যাঙ্কলিনরে। ফ্র্যাঙ্কলিন পুরা স্ট্রিট স্মার্ট! পোলাডার স্টাইল আছে, কিন্তু টাকা নাই। আর শেষমেশ আসল সেই ট্রেভর। ভাই, এই লোকটার মাথায় একটাও স্ক্রু নাই ঠিকঠাক! অহন যদি কোন মিশনে পইরা যাই, একমাত্র ট্রেভরই পারে ফালাইতে।
গাড়ি চালাইতে শিখতে গিয়া হালকা গন্ডগোল
শামীম ভাবল গাড়ি নিয়া শহর ঘুইরা একটু মজা লইবো। হাইওয়েতে উঠতেই পিছে পুলিশ লাগে দিল! শামীম ভাবল, "বেশি স্পিডে গেছি কিনা?" গাড়ি চালাইতে চালাইতে আস্তে আস্তে শিখে গেল কিভাবে পুলিশরে ফাঁকি দিতে হয়। সে বুঝে গেল, এই গেমের পুলিশেরে ফাঁকি দিতে হলে প্রথমে কোন চিপা গলিতে ঢুইকা গাড়ি বন্ধ কইরা ঠান্ডা থাকো। পুলিশ যহন সাইরাইয়া যাইবো, তহন আবার যাত্রা শুরু।
গেমের চিট-কোড: প্রয়োজনে লাঠি, দরকারে বন্দুক!
শামীম ভাবল, "এই যে বাপে! পুলিশ এত তাড়া করে কেন, চিট-কোড দিয়াই শেষ করি!" টিভি সামনে বসাইয়া ল্যাপটপে কইরা চিট-কোড বের করলো। কখনো গাড়ি চাইলে গাড়ি, কখনো বন্দুক চাইলে বন্দুক। এইভাবে গেমের ভিতর মহা রাজত্ব শুরু করল সে। বিশেষ করে, গাড়ি নিয়া কামের মধ্যে ফ্র্যাঙ্কলিনের স্লো-মোশন ড্রাইভিং স্কিল যহন একবার চালু করলো, তখন আর কে থামায় শামীমরে!
ব্রাইভারি মিশন: টাকা কামানোর বড় রাস্তা
গেমে একসময় শামীম বুঝতে পারল, আসল আয় করা যায় ব্রাইভারি মিশন কইরা। এই মিশনে সবদিক ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হয়। ভুল করলেই বাস, পুলিশ আইসা হাজির। প্রথম কয়েকবার চেষ্টায় ব্যর্থ হইলেও একসময় শামীম সফল হইলো। টাকার বস্তা হাতে পইরা, পুরা লস স্যান্টোস শহরে রাজা বনে গেল।
ফাইনাল হেস্ট: ট্রেভর আর মাইকেলের সাথে ফাইনাল লড়াই
গেমের সবচেয়ে বড় মিশন আসল ট্রেভর, ফ্র্যাঙ্কলিন আর মাইকেলরে নিয়া। এই তিনজনে মিলা বড় একটা চুরি করার প্ল্যান করলো। শামীম হালকা নার্ভাস ছিল, কারণ এই মিশনে ভুল করলে গেম ওভার। ঠিকমত বন্দুক ধরা লাগবে, গাড়ি চালাইতে হইবো ফ্র্যাঙ্কলিনের সেই পুরান স্টাইল নিয়া, আর শেষমেশ পালায়া যাইতে হইবো ট্রেভররে নিয়া। ট্রেভরের লড়াই দেখলে কে বলব যে এই পোলাডার মাথায় গন্ডগোল আছে! শামীম ভাবল, এই তিনটাই মিলে আসলে গেমটারে জমাইয়া রাখে।
গোপন কাহিনি: ইস্টার এগ খোঁজা
শামীমের মাথায় ভূত চাপল ইস্টার এগ খুঁজবে। শহরের ভিতরে লুকাইয়া থাকা সব রহস্য-ভরা জায়গা খুঁজতে লাগল। পুরান ভূত, এলিয়েন, আর কীসব অলৌকিক ব্যাপার আছে এই গেমে! রাত জাগা লাগছে, তবু শামীম খুঁজে গেল এই সব মজার কাহিনি।
GTA Online: আসল দুনিয়া এক্ষুনি জমে উঠলো
অবশেষে শামীম অনলাইন মোডে পা দিল। তখন দেখল আসল খেলা এখন শুরু হইছে। দুনিয়ার সবাই নিজের নিজের মতো করে গেম খেলে যাচ্ছে, কেউ পুলিশ, কেউ ডাকাত, কেউ বাইকার। নতুন নতুন বন্ধুরা মিলা শামীম একের পর এক মিশনে নামল। ভাই, তখন তো সে একেবারে পুরা প্রফেশনাল লেভেলের গেমার!
গল্পের শেষ
শেষমেশ, শামীম যখন GTA V পুরা শেষ কইরা বসল, তার তখন পুরা ফিল হইল যেন সে লস স্যান্টোস শহরের একজন আসল নাগরিক হইয়া গেছে। সে জানল, এই গেম আসলে শুধু একটা খেলা না, একটা রোমাঞ্চকর যাত্রা। আহা, এমন গেম জীবনে কয়বার আসে? এখন শামীম অপেক্ষা করতাছে পরের অজানা অ্যাডভেঞ্চারের জন্য।